পাকিস্তানের করাচি থেকে পণ্য নিয়ে আলোচিত সেই জাহাজ আবারো চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি কনটেইনারবাহী পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার এবং রেজিস্ট্রার অব বাংলাদেশ শিপস ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ।
এর আগে, জাহাজটি প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। ৩৭০ একক পণ্যবাহী কনটেইনার খালাসের পর জাহাজটি পরদিন চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা প্রথম কোনো জাহাজ। এর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, করাচি, দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন বাণিজ্যিক রুট অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। নতুন এ রুট বাংলাদেশের নৌবাণিজ্যকে আরো এগিয়ে নেবে বলে আশা করছি।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামে জাহাজের মাধ্যমে ৩৭০ একক কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে।
এর পরদিন ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের ‘জেবল আলী’ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে মধ্যবর্তী করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে।
জাহাজটির সাধারণ রাউন্ডিং হচ্ছে দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে শুরু করে পাকিস্তানের করাচি বন্দর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর, ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দর, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দর, ইন্ডিয়ার মুন্দা বন্দর ঘুরে পুনরায় দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর। জাহাজটি পণ্য নিয়ে মূলত এসব পথে ঘুরবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এটিকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি এই অঞ্চলে আরো সমন্বিত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক জোরদারের একটি বড় পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন।
এসএস//