ঢালিউডের ডানা কাটা পরী চিত্রনায়িকা পরীমণি। এই নায়িকাকে নিয়ে যেন আগ্রহের শেষ নেই ভক্ত-অনুরাগীদের। ভক্তদের প্রশ্নে তিনি নিজেও মন খোলা,দিল খুলে সবকিছু শেয়ার করেন প্রিয় অনুরাগীদের কাছে। লুকা ছাপায় থাকতে পছন্দ করেন না এ নায়িকা। যাকে যা বলেন সোজাসাপ্টা। এমনকি বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্ত করেন নিজের নানান অনুভূতির কথা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার প্রেম, বিয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে পরীমণি বলেন, ‘মানুষ আমার প্রেমে পরে আমি পরি না। নায়কদের সঙ্গে প্রেম হয় না। একজনের সঙ্গে হয়েছিল, বাচ্চা হওয়ার পরে সব শেষ। এসব নিয়ে আমার অনুশোচনা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘খুব সাধারণ জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। আমার পাশে সেরকম কোনো মানুষ নেই যে কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিবে যখন কান্না করি। আমার নিজে নিজে কান্না বন্ধ করতে হয়। যদি বুঝতাম আমরা কী চাই তাহলে জীবনটা অনেক সাজানো গোছানা থাকতো কোনো ভুল থাকতো না। আমি মরে যাইনি পাগল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কারণ অনেক কিছু ঘটেছে আমার সঙ্গে তবে আলহামদুলিল্লাহ কোনো আফসোস নেই। আমি জীবনকে অনেক সহজ করে দেখি।’
পরীর ভাষ্য, ‘দুঃখ হয় কান্না পাই আমিও তো মানুষ। যা মানুষের হয় আমারও তা হয় পরী বলে তো আসলে পরীদের মতো জীবন যাপনা না আমার মানুষের মতো জীবন যাপন করি। বাঁচতে ভালোবাসি আমার জীবনটাকে অনেক ভালোবাসি। যে জীবনকে ভালোবাসে তার তো এগিয়ে যেতে হবে।’
‘আমি সবার সাথে কথা বলতে পারিনি আমার কথা বলার আলাদা জোন আছে। আমি দুই চার মিনিটে বুঝে যায় আসলে তার সাথে আমার এক ঘণ্টা কথা বলার জায়গাটা আছে না নেই। আমার যেখানে জমবে না আমি ওখানে থাকি না।’
সেই সাক্ষাৎকারে পরীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তার জীবনের প্রথম ক্রাশ কে, জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্রাশ! রণিত রায়।’ বলে রাখা ভালো, পরীমণি হয়তো সেই রণিত রায়ের কথাই উল্লেখ করেছেন, যিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা। ‘আদালত’ সিরিজের ‘কেডি পাঠক’ হিসেবে যিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।