এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে’ (মাইকেল মধুসূদন দত্ত)। ‘মেঘনাদ বধ’ মহাকাব্যের এই পঙতির মতোই এতদিন পর বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র বুঝতে পেরেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা থেকে ফিরে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যে ভারতের সায় নেই’। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনো একক রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ) বা একটি সরকারের (বিগত শেখ হাসিনার সরকার) মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় ভারত।’ অর্ক ভাদুরি নামের একজন ভারতের সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মোদি কেন দিল্লির দাসী হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে?
সিকিমের লেন্দুপ দর্জির মতো বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ‘দিল্লির নাচের পুতুল’ গড়ে তুলেছিল চানক্যনীতির হিন্দুত্ববাদী ভারত। লেন্দুপ দর্জি দিল্লির নীলনকশা অনুযায়ী পাতানো নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৬ মে সিকিমকে ভারতের হাতে (অঙ্গরাজ্য) তুলে দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চার দফায় পাতানো নির্বাচনের মধ্যেমে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসিয়েছিল ভারত। উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে সিকিমের পরিণতিতে নিয়ে যাওয়া। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘ভারততে যা দিয়েছি সারাজীবন মনে রাখবে’। কিন্তু ভারত বহুল প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে ‘সিকিমের পরিণতি’র দিকে নিতে পারেনি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা তথা ১৮ কোটি মানুষ হাসিনার লেন্দুপ দর্জি হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে ভারত একের পর এক ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের চেষ্টাও করে। বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে একের পর এক ‘ষড়যন্ত্র কার্ড’ ছুড়েছে। জুডিশিয়াল ক্যু, সামরিক অভ্যুত্থান, আনসার বিদ্রোহ, সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার আন্দোলন, গার্মেন্টস সেক্টরে বিশৃঙ্খলা, পাহাড়ে অশাস্তি এবং ইসকন ইস্যু নিয়ে ‘প্রতি বিপ্লব’ ষড়যন্ত্র করে প্রতিটিতে ব্যর্থ হয় ভারত। বিশেষ করে ভারতের বিজেপি, আরএসএস, ইসকন, ভিএইচপি নেতারা বাংলাদেশের মুম্বাই, কলকাতার উপ-হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করে; আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অফিসে হামলা করে। বাংলাদেশের সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা। দেশটির শত শত প্রিন্ট, টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘ফেইক নিউজ’ প্রচার করছে। দিল্লিতে আশ্রয়ে থাকা হাসিনা একের পর এক টেলিফোন সংলাপ (প্রতিটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করছেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অডিও কনফারেন্স করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। গণহত্যাকারী হাসিনা কার্যত হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উস্কে দিচ্ছেন। এসব নিয়ে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ করলেও দিল্লি এতদিন নিশ্চুপ ছিল। দিল্লির হাসিনা পুনর্বাসনের অপচেষ্টা প্রতিবাদে বাংলাদেশে মূলত ভারতবিরোধী তথা ভারতীয় পণ্য বর্জনের এক সামাজিক যুদ্ধ শুরু হয়। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ‘ভারত তাড়াও’ সফল হয়েছে। নেপালের সংবিধান সংশোধনে হস্তক্ষেপের চেষ্টার পর দেশটি ভারতের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়। চীন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। শ্রীলংকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও তারা এখন পরাজয়ের মুখে। একমাত্র বাংলাদেশ ছিল কাগজে-কলমে ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র। হাসিনা ইস্যুতে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য রফতানি বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। জবাবে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে এবং সেটা বেশ সফলতার পথে হাঁটছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতারা একচোখা নীতিতে অভ্যস্ত হওয়ায় এতদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ‘সুদূর ফলাফল’ বুঝতে পারেননি। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর হলে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষাই কঠিন হয়ে পড়বে। এতদিনে বিষয়টি বুঝতে পেরে এখন বাংলাদেশ ইস্যুতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে ইউ-টার্ন নিচ্ছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির বক্তব্যে সেটা বেশ পরিষ্কার।
ভারতের পণ্য ছাড়া বাংলাদেশ চলতে পারে সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে ১০ বছর আগে। গুজরাটের কসাইখ্যাত হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে হঠাৎ করে ভারতের গরু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মুসলমানদের গরুর গোশতের সংকটে ফেলা। মোদির সেই অপকর্মে সাময়িক সংকটে ফেললেও সেটা বাংলাদেশের জন্য ‘শাপে বর’ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে প্রচুর গরু উৎপাদন হচ্ছে। গরু ইস্যুতে গত শনিবার নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমদানি-রফতানি বন্ধ হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত গরু বন্ধ করেছিল আমরা এখন গরুর গোশত খাই না? বরং গরুর গোশতে বাংলাদেশ এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।’
হাসিনার চিন্তাভাবনা আর ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের চেতনা যেন একই সূত্রে গাঁথা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে ২০১৭ সালে হাসিনা বলেছিলেন, আমার বোন শেখ রেহানা আমাকে বলল, ‘আপা তুমি দেশের ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়াচ্ছ। আর ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না’। বোনের আবেগময় এ কথায় মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি।’ হাসিনা-রেহানার ভাবখানা বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদেরটা খেয়েছে-পরেছে। হাসিনার মতোই ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের কিছু হিন্দুত্ববাদী নেতা ও হিন্দুত্ববাদী সাংবাদিক, ইউটিউবার দাবি করছেন ভারতের দেয়া পণ্যে বাংলাদেশে চলছে। তারাই বাংলাদেশের মানুষকে খাওয়াচ্ছেন। তাদের ভাষায় ‘আমাদের খাবেন, আমাদের পরবেন আবার হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করবেন? পেঁয়াজ, রসুনসহ ভারতের পণ্য রফতানি বন্ধ করলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে।’ ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতা, বুদ্ধিজীবীদের এমন বক্তব্যের পর উল্টো ফল ভোগ করছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা। ভিসা সীমিত করায় বাংলাদেশিরা ভারতের কলকাতা যাওয়া বন্ধ করায় কলকাতার হোটেল ব্যবসা ও হাসপাতাল-ক্লিনিক ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কলকাতার হোটেল ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বাংলাদেশিরা এখানে বেড়াতে এবং চিকিৎসা করতে না এলে আমাদের (কলকাতার ব্যবসায়ী) না খেয়ে মরবো। কেউ কেউ ইতোমধ্যেই ব্যবসা পরিবর্তনের কথাও জানিয়েছেন।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর থেকে গত চার মাসে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো শত শত ‘ফেইক নিউজ’ প্রচার করছে। শুধু অনলাইন নয় ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার ইত্যাদির মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমেও বাংলাদেশ নিয়ে ফেইক নিউজ প্রচার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ-সংক্রান্ত ভুয়া খবর বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে ফেইক নিউজের ছড়াছড়ি। মাইক্রোসফটের এক সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভুয়া খবর ছড়ায় ভারত। মাইক্রোসফটের জরিপ অনুযায়ী, ৬০ শতাংশেরও বেশি অনলাইনে ভুয়া খবরের মুখোমুখি হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা যখন জরুরি অবস্থা জারি করে গণহত্যা চালায়, প্রতিদিন পুলিশের গুলিতে শত শত লাশ ঢাকার রাজপথে পড়েছে তখন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, ‘এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে দিল্লির মন্তব্য করা উচিত নয়’। হাসিনা হটানোর সঙ্গে বাংলাদেশজুড়ে ভারত-বিরোধিতার ঢেউ উঠেছে। ঢাকার রাজপথে হাসিনার উদ্দেশে গর্জন ওঠে ‘ভারত তোমার মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি’। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে, ‘ভারতের তাঁবেদার সরকার’ আওয়ামী লীগকে হটানোর ডাকে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঢাকা। নয়াদিল্লির নাকের ডগায় এসব হলেও তারা নীরব ছিল। ভারত ধরে নিয়েছিল হাসিনা সবকিছু সামলে নেবেন। কিন্তু হাসিনা যখন পালিয়ে ভারতে চলে যান; তখন হুঁশ হয় হিন্দুত্ববাদী ভারতের নেতাদের। হাসিনার এই ‘করুণ পরিণতি’ দিল্লির সাউথ বøক মেনেই নিতে পারেনি। তাদের ধারণা ছিল লেন্দুপ দর্জির মতোই হাসিনা ১৬ বছরের মতোই দমন-পীড়ন করে ঢাকাকে দিল্লির পায়ের নিচে রাখবেই। কিন্তু বাংলার ১৮ কোটি মানুষের দেশ রক্ষার দৃঢ়তায় ভারতের ‘সোনালি দৈত্য শেখ হাসিনা’র পতন হন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষ নিয়ে দীর্ঘ চার মাস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়ে দিল্লি এখন বাংলাদেশ ইস্যুতে ইউ-টার্ন নিয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত চার মাসে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হাসিনার পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিল্লির অবস্থান তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্যের জোরে ভারতের কিছু হিন্দুত্ববাদী নেতা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, রংপুর দখলের ঘোষণা দেন এবং পাল্টা ঘোষণাও যায়। কিন্তু ঢাকার বাস্তব চিত্র দেখে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে ভারতের সায় নেই। এই ইস্যু নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা অস্বস্তি আছে। শেখ হাসিনা তার মন্তব্যের জন্য ‘ব্যক্তিগত যোগাযোগ ডিভাইস’ ব্যবহার করছেন। ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম দেয়নি, যা দিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাÐ চালিয়ে যেতে পারেন।’
ভারতের অনেক সাংবাদিক ও মিডিয়া এখন হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের বদলে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য মোদি সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা টকশো ও প্রবন্ধে নিবন্ধে এ নিয়ে লেখালেখি করছেন। শেখ হাসিনা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতির জন্য মোদিকে দায়ী করে কলকাতার সাংবাদিক অর্ক ভাদুরি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা হচ্ছে দিল্লির দাসী। ১৫ বছর দিল্লি যা নির্দেশ দিয়েছে তিনি তাই করেছেন। এখন দাসীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে মোদি সরকার ভারতের ক্ষতি করেছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকার কেন হাসিনাকে পুষছে? যাতে পৃথিবীর কোনো দেশ আশ্রয় দেয়নি; এমনকি হাসিনার ভাগ্নি যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি; ভারত কেন বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে?’ ভারতের একাধিক সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী বলেছেন, দিল্লির গলার কাঁটা হচ্ছেন শেখ হাসিনা। ভারত এখন তাকে না পারছে গিলতে না পারছে ফেলতে। বাংলাদেশ দু’দেশের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ফেরত চাওয়ার আগে হাসিনাকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে পারলে দিল্লি বর্তে যায়। কবির ‘এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে’র মতো এতদিন পর ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার বুঝতে পারলো হাসিনা তাদের গলার কাঁটা হয়ে গেছে।